০৮:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

আইটি ব্যবসার আড়ালে অনলাইনে অর্ডার নিয়ে সিসার কারবার

আইটি ব্যবসার আড়ালে অনলাইনে অর্ডার নিয়ে সরবরাহ করা হচ্ছিল নিষিদ্ধ মাদক সিসা। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ক্রেতা সেজে চক্রের হোতাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিএনসির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন- আব্দুল আলিম ওয়াসিফ ও আশিকুর রহমান সামি। রোববার রাজধানীর বাড্ডা ও হাতিরঝিল এলাকায় অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় উদ্ধার করা হয় ১৮ কেজি সিসা, যা সাম্প্রতিক কালের সর্বোচ্চ।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসি মহাপরিচালক হাসান মারুফ বলেন, গোয়েন্দা বিভাগ দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে মাদক পাচারের বিষয়ে নজরদারি করে আসছে। এই তৎপরতায় বিভিন্ন সময় বেশকিছু চালান জব্দ করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে, ডিএনসির কাছে গোপন তথ্য ছিল যে একটি চক্র ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে দেশব্যাপী সিসা সরবরাহ করছে। এর ভিত্তিতে রোববার ডিএনসির ঢাকা বিভাগীয় গোয়েন্দা শাখার একটি বিশেষ দল উপপরিচালক মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে ক্রেতা সেজে অভিযান চালায়। প্রথমে চক্রের ডেলিভারিম্যান আশিকুর রহমান সামির সঙ্গে যোগাযোগ করে হাতিরঝিল এলাকায় পণ্য ডেলিভারির সময় ও স্থান নির্ধারণ করা হয়। রোববার রাত ১১টায় হাতিরঝিল মহানগর প্রকল্প এলাকায় সামি সিসার জারভর্তি ব্যাগ নিয়ে উপস্থিত হলে ডিএনসি দল তাকে আটক করে। তার স্কুলব্যাগ তল্লাশিতে ২ কেজি সিসা পাওয়া যায়।

জিজ্ঞাসাবাদে সামি জানায়, সে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অনলাইন অর্ডার অনুযায়ী সিসা সরবরাহ করে। এ চক্রের মূল নিয়ন্ত্রক আব্দুল আলিম ওয়াসিফ। তার দেওয়া তথ্য যাচাই করে ডিএনসি দল দ্রুত উত্তর বাড্ডার বিটিআই প্রিমিয়াম প্লাজায় অবস্থিত ‌‘ইনোভেট’ দোকানটিকে চিহ্নিত করে। সেদিন রাতেই দোকানে প্রবেশ করে সন্দেহজনক কার্যকলাপ নিশ্চিত হলে দোকানের মালিক ওয়াসিফকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে স্টোর রুম তল্লাশি করে উদ্ধার করা হয় আরও ১৬ কেজি সিসা (১৬ জার), ৩টি হুক্কা সেট, ২টি পাইপ, চারকোল ১০ প্যাকেট, আইফোন–১৩, ৫টি ওয়াইফাই সিসিটিভি ক্যামেরা।

ওয়াসিফ জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন যে, তিনি অনলাইনে অর্ডার নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সিসা সরবরাহ করতেন এবং সামি তার হয়ে ডেলিভারি দিতেন।

ডিএনসি মহাপরিচালক বলেন, গ্রেপ্তার দুই আসামির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ অনুযায়ী নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চক্রের অন্যান্য সদস্যদেরও চিহ্নিত করা হচ্ছে; শিগগিরই আরও অভিযান চালানো হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন:

আপডেট সময় ০৩:০৮:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
২ বার পড়া হয়েছে

আইটি ব্যবসার আড়ালে অনলাইনে অর্ডার নিয়ে সিসার কারবার

আপডেট সময় ০৩:০৮:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

আইটি ব্যবসার আড়ালে অনলাইনে অর্ডার নিয়ে সরবরাহ করা হচ্ছিল নিষিদ্ধ মাদক সিসা। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ক্রেতা সেজে চক্রের হোতাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিএনসির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন- আব্দুল আলিম ওয়াসিফ ও আশিকুর রহমান সামি। রোববার রাজধানীর বাড্ডা ও হাতিরঝিল এলাকায় অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় উদ্ধার করা হয় ১৮ কেজি সিসা, যা সাম্প্রতিক কালের সর্বোচ্চ।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসি মহাপরিচালক হাসান মারুফ বলেন, গোয়েন্দা বিভাগ দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে মাদক পাচারের বিষয়ে নজরদারি করে আসছে। এই তৎপরতায় বিভিন্ন সময় বেশকিছু চালান জব্দ করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে, ডিএনসির কাছে গোপন তথ্য ছিল যে একটি চক্র ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে দেশব্যাপী সিসা সরবরাহ করছে। এর ভিত্তিতে রোববার ডিএনসির ঢাকা বিভাগীয় গোয়েন্দা শাখার একটি বিশেষ দল উপপরিচালক মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে ক্রেতা সেজে অভিযান চালায়। প্রথমে চক্রের ডেলিভারিম্যান আশিকুর রহমান সামির সঙ্গে যোগাযোগ করে হাতিরঝিল এলাকায় পণ্য ডেলিভারির সময় ও স্থান নির্ধারণ করা হয়। রোববার রাত ১১টায় হাতিরঝিল মহানগর প্রকল্প এলাকায় সামি সিসার জারভর্তি ব্যাগ নিয়ে উপস্থিত হলে ডিএনসি দল তাকে আটক করে। তার স্কুলব্যাগ তল্লাশিতে ২ কেজি সিসা পাওয়া যায়।

জিজ্ঞাসাবাদে সামি জানায়, সে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অনলাইন অর্ডার অনুযায়ী সিসা সরবরাহ করে। এ চক্রের মূল নিয়ন্ত্রক আব্দুল আলিম ওয়াসিফ। তার দেওয়া তথ্য যাচাই করে ডিএনসি দল দ্রুত উত্তর বাড্ডার বিটিআই প্রিমিয়াম প্লাজায় অবস্থিত ‌‘ইনোভেট’ দোকানটিকে চিহ্নিত করে। সেদিন রাতেই দোকানে প্রবেশ করে সন্দেহজনক কার্যকলাপ নিশ্চিত হলে দোকানের মালিক ওয়াসিফকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে স্টোর রুম তল্লাশি করে উদ্ধার করা হয় আরও ১৬ কেজি সিসা (১৬ জার), ৩টি হুক্কা সেট, ২টি পাইপ, চারকোল ১০ প্যাকেট, আইফোন–১৩, ৫টি ওয়াইফাই সিসিটিভি ক্যামেরা।

ওয়াসিফ জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন যে, তিনি অনলাইনে অর্ডার নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সিসা সরবরাহ করতেন এবং সামি তার হয়ে ডেলিভারি দিতেন।

ডিএনসি মহাপরিচালক বলেন, গ্রেপ্তার দুই আসামির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ অনুযায়ী নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চক্রের অন্যান্য সদস্যদেরও চিহ্নিত করা হচ্ছে; শিগগিরই আরও অভিযান চালানো হবে।