০৮:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

উপ‌দেস্টা অধ্যাপক আলী রিয়াজের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন ও জোরপূর্বক গর্ভপাতের অভিযোগ

কা‌লের ধারা ডেস্ক

বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও অধ্যাপক আলী রিয়াজের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক, প্রতারণা এবং জোরপূর্বক গর্ভপাত করানোর অভিযোগ তুলেছেন অতন্দ্র নূরী পা নামে এক নারী। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও বার্তায় তিনি এই অভিযোগ করেন। নিজেকে কবি পরিচয় দিয়ে তিনি দাবি করেন, বর্তমানে প্রাণনাশের আশঙ্কায় আত্মগোপনে রয়েছেন।

ভিডিও বার্তায় অতন্দ্র নূরী না‌মে ওই নারী ব‌লেন , কবিতার সূত্র ধরে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি ফেসবুকে আলী রিয়াজের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ব্যক্তিগত জীবনের একাকিত্বের কথা শেয়ার করতে করতে তাদের মধ্যে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে।

অভিযোগ অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আলী রিয়াজ ড. ইউনূস সরকারের কাজে ঢাকায় আসেন এবং তাকে ঢেকে নেন। তারা কিছুদিন ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে অবস্থান করেন এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন স্থানে সময় কাটান।

নারীর দাবি, আলী রিয়াজ তাকে বিয়ের কথা বলেন এবং খুব দ্রুত আমেরিকায় নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। শারীরিক সম্পর্কের পর একপর্যায়ে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, “উনি বারবার বলেছেন উনার ভ্যাসেকটমি করা, তাই কোনো প্রোটেকশনের প্রয়োজন নেই। আমি তাকে বিশ্বাস করেছিলাম।”

অভিযোগে আরও বলা হয়, গর্ভধারণ নিশ্চিত হওয়ার পর আলী রিয়াজ যোগাযোগ এড়িয়ে চলতে থাকেন। পরে দিলরুবা শারমিন নামে এক নারী তাকে ফোন করে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কথা বলে গর্ভপাতের জন্য চাপ দেন। শেষ পর্যন্ত ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে তাকে গর্ভপাত করানো হয়।

অতন্দ্র নূরীর দাবি, ঘটনার পর আলী রিয়াজ সম্পূর্ণ যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি মানসিক নির্যাতন ও হুমকির মুখে পড়েন। “পুলিশ আমাকে হুমকি দিচ্ছে, গুম করার ভয় দেখানো হচ্ছে। আমি ভয়ে ফোন বন্ধ করে বোরখা পরে পালিয়ে বেড়াচ্ছি,”—ভিডিওতে বলেন তিনি।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি আরও বলেন, “আমি শুধু স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে চাই। কথা বলতে চাইনি, কিন্তু বাধ্য হয়েছি। আমি তো তার কোনো ক্ষতি করিনি, তাহলে উনি আমাকে কেন বাঁচতে দিচ্ছেন না?”

এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত অধ্যাপক আলী রিয়াজ বা সংশ্লিষ্ট কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বক্তব‌্য পাওয়া গে‌লে প্রকাশ করা হ‌বে । তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিযোগটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন:

আপডেট সময় ০৯:৩৬:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
৫০ বার পড়া হয়েছে

উপ‌দেস্টা অধ্যাপক আলী রিয়াজের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন ও জোরপূর্বক গর্ভপাতের অভিযোগ

আপডেট সময় ০৯:৩৬:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও অধ্যাপক আলী রিয়াজের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক, প্রতারণা এবং জোরপূর্বক গর্ভপাত করানোর অভিযোগ তুলেছেন অতন্দ্র নূরী পা নামে এক নারী। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও বার্তায় তিনি এই অভিযোগ করেন। নিজেকে কবি পরিচয় দিয়ে তিনি দাবি করেন, বর্তমানে প্রাণনাশের আশঙ্কায় আত্মগোপনে রয়েছেন।

ভিডিও বার্তায় অতন্দ্র নূরী না‌মে ওই নারী ব‌লেন , কবিতার সূত্র ধরে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি ফেসবুকে আলী রিয়াজের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ব্যক্তিগত জীবনের একাকিত্বের কথা শেয়ার করতে করতে তাদের মধ্যে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে।

অভিযোগ অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আলী রিয়াজ ড. ইউনূস সরকারের কাজে ঢাকায় আসেন এবং তাকে ঢেকে নেন। তারা কিছুদিন ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে অবস্থান করেন এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন স্থানে সময় কাটান।

নারীর দাবি, আলী রিয়াজ তাকে বিয়ের কথা বলেন এবং খুব দ্রুত আমেরিকায় নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। শারীরিক সম্পর্কের পর একপর্যায়ে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, “উনি বারবার বলেছেন উনার ভ্যাসেকটমি করা, তাই কোনো প্রোটেকশনের প্রয়োজন নেই। আমি তাকে বিশ্বাস করেছিলাম।”

অভিযোগে আরও বলা হয়, গর্ভধারণ নিশ্চিত হওয়ার পর আলী রিয়াজ যোগাযোগ এড়িয়ে চলতে থাকেন। পরে দিলরুবা শারমিন নামে এক নারী তাকে ফোন করে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কথা বলে গর্ভপাতের জন্য চাপ দেন। শেষ পর্যন্ত ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে তাকে গর্ভপাত করানো হয়।

অতন্দ্র নূরীর দাবি, ঘটনার পর আলী রিয়াজ সম্পূর্ণ যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি মানসিক নির্যাতন ও হুমকির মুখে পড়েন। “পুলিশ আমাকে হুমকি দিচ্ছে, গুম করার ভয় দেখানো হচ্ছে। আমি ভয়ে ফোন বন্ধ করে বোরখা পরে পালিয়ে বেড়াচ্ছি,”—ভিডিওতে বলেন তিনি।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি আরও বলেন, “আমি শুধু স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে চাই। কথা বলতে চাইনি, কিন্তু বাধ্য হয়েছি। আমি তো তার কোনো ক্ষতি করিনি, তাহলে উনি আমাকে কেন বাঁচতে দিচ্ছেন না?”

এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত অধ্যাপক আলী রিয়াজ বা সংশ্লিষ্ট কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বক্তব‌্য পাওয়া গে‌লে প্রকাশ করা হ‌বে । তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিযোগটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে।