০৪:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫

সন্দ্বীপে ইটভাটায় নারী শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ

সন্দ্বীপ (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার মগধরা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের গুপ্তছড়া ঘাট এলাকায় নিজামের মালিকানাধীন ‘মাম–২ ব্রিক ফিল্ডে’ এক নারী শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইটভাটায় কর্মরত চারজন পুরুষ শ্রমিক সুযোগ বুঝে ওই নারী শ্রমিককে ধর্ষণ করে। ঘটনার পরপরই অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জন দ্রুত পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে সন্দ্বীপ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে রবিউল ও মো. জাহিদুল ইসলাম নামে দুই শ্রমিককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

সন্দ্বীপ থানা পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী নারী শ্রমিকসহ অভিযুক্ত চারজনই সিরাজগঞ্জ জেলার বাসিন্দা এবং মৌসুমি কর্মসংস্থানের অংশ হিসেবে ওই ইটভাটায় কাজ করছিলেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং তদন্ত চালাচ্ছে।

ওসি (সন্দ্বীপ থানা) বলেন, “ধর্ষণের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। বর্তমানে আটক দু’জনের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পলাতক আরও দু’জনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আমরা চাই দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।”

স্থানীয়রা এ ঘটনায় দ্রুত বিচার দাবি করেছেন। একাধিক নারী শ্রমিক জানান, ঘটনার পর থেকে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং ভয় পাচ্ছেন। “ইটভাটায় কাজ করতে গিয়ে এমন ঘটনা ভীষণ আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। আমরা চাই দোষীদের কঠোর শাস্তি হোক,”—বললেন এক শ্রমিক।

স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশ কর্মকর্তারা আশ্বস্ত করেছেন যে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে এবং নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন:

আপডেট সময় ১১:৩৭:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
১ বার পড়া হয়েছে

সন্দ্বীপে ইটভাটায় নারী শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ

আপডেট সময় ১১:৩৭:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

সন্দ্বীপ (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার মগধরা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের গুপ্তছড়া ঘাট এলাকায় নিজামের মালিকানাধীন ‘মাম–২ ব্রিক ফিল্ডে’ এক নারী শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইটভাটায় কর্মরত চারজন পুরুষ শ্রমিক সুযোগ বুঝে ওই নারী শ্রমিককে ধর্ষণ করে। ঘটনার পরপরই অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জন দ্রুত পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে সন্দ্বীপ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে রবিউল ও মো. জাহিদুল ইসলাম নামে দুই শ্রমিককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

সন্দ্বীপ থানা পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী নারী শ্রমিকসহ অভিযুক্ত চারজনই সিরাজগঞ্জ জেলার বাসিন্দা এবং মৌসুমি কর্মসংস্থানের অংশ হিসেবে ওই ইটভাটায় কাজ করছিলেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং তদন্ত চালাচ্ছে।

ওসি (সন্দ্বীপ থানা) বলেন, “ধর্ষণের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। বর্তমানে আটক দু’জনের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পলাতক আরও দু’জনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আমরা চাই দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।”

স্থানীয়রা এ ঘটনায় দ্রুত বিচার দাবি করেছেন। একাধিক নারী শ্রমিক জানান, ঘটনার পর থেকে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং ভয় পাচ্ছেন। “ইটভাটায় কাজ করতে গিয়ে এমন ঘটনা ভীষণ আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। আমরা চাই দোষীদের কঠোর শাস্তি হোক,”—বললেন এক শ্রমিক।

স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশ কর্মকর্তারা আশ্বস্ত করেছেন যে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে এবং নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।