০২:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

গৌরনদীতে চোররে শালিসি করে গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা।

কালেরধারা
  • আপডেট সময় ০২:৫৪:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৫৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী (বরিশাল): বরিশালের গৌরনদী উপজেলার উত্তর ধানডোবা গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনায় অতিষ্ঠ ছিল সাধারণ মানুষ। রাতের আধারে নৌকা, মাছ ধরার জাল, কৃষি সরঞ্জামসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি হওয়ার অভিযোগে পুরো গ্রামে আতঙ্ক বিরাজ করছিল।

স্থানীয় নুর মোহাম্মদ সরদার জানান, উত্তর  ধানডোবা মহিম সরদারের ছেলে আকাশ সরদার (২৫) মাদকাসক্ত। মাদকের টাকার জন্য দীর্ঘদিন এলাকা ও আশপাশে চুরি-ছিনতাই করে বেড়াচ্ছেন তিনি। নুর মোহাম্মদ সরদার জানান  তার মাছের খামার ধরার নৌকা, লোহার কোদাল, স্টিলের গামলা গুরুত্বপূর্ণ দামী জিনিস পত্র আকাশ,রুবেল  চুরি  করে নিয়ে জায়  গৌরনদী মডেল থানায় একাধীক অভিযোগ রয়েছে। উঃ ধানডোবা গ্রামের রুহি দাস অভিযোগ করে বলেন তার নৌকা ও খামারের মাছ ধরার জাল চুরি যাওয়ার অভিযোগ করেন। অপরদিকে মাছচাষী শাহ আলম সরদার জানান, কিছুদিন আগে সন্ধ্যায় তার খামার থেকে নৌকা ও মাছ ধরার জাল চুরি করতে গিয়ে আকাশকে হাতেনাতে ধরে এলাকার লোকজনের হাতে তুলে দেন।চুরি-ছিনতাই সহ পানের বর থেকে পান এবং কলার বাগান থেকে কলা চুরি করে নিয়ে জায়। চুরির  আতঙ্ক  পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে গ্রামের জনগণ একত্রিত হয়ে রাতের পাহারা ব্যবস্থা চালু করেন। পাহারাদারদের হাতে আবারও ধরা পড়ে আকাশ সরদার, যাকে এলাকাবাসী পেশাদার চোর ও চিহ্নিত মাদকসেবী বলে দাবি করছেন। স্থানীয় সমঝোতার জন্য গ্রামবাসীর উদ্যোগে একটি বিচার-শালিশের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাফিজুল সরদার, সোহাগ সরদার, আহাদ সরদার, আলী সরদার, লিটু জয় ধর, বাচ্চু সরদার, রিফাত সরদার, নাঈম সরদার, চান মিয়া সরদারসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। গৌরনদী মডেল থানার এসআই নাঈমুলও শালিশে উপস্থিত ছিলেন। শালিশে আকাশ সরদার ও তার বাবা মহিম সরদার আকাশের মাদক ও চুরির বিষয় স্বীকার করে শেষবারের মতো ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ভবিষ্যতে আর কখনও চুরি করবে না—এমন মর্মে লিখিত মুচলেকায় শাজাহান ফকির,দেলোয়ার হাওলাদার,পলাশ হাওলাদার,সালাম মাঝি আকাশ স্বাক্ষরও দেন। পরে তাকে শালিশি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ঘটনার কয়েকদিন পর গ্রামবাসী জানতে পারেন, আকাশ সরদার ও তার মা সালমা বেগম বাদী হয়ে  শালিশে উপস্থিত ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করে বরিশাল আদালতে একটি মিথ্যা ও গত ২৬ তারিখ আবার একটি সাজানো মামলা দায়ের করেছেন। এতে গ্রামবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে।সংবাদ সংগ্রহে বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নী তবে তার নানি সালেহা বেগম জানান আমার নাতী একজন নিয়মিত মাদক সেবন করে এবং টাকার জন্য আমাদের মার ধর করে। আপনাদের যা ভাল মনে হয় করেন। স্থানীয়রা দাবি করেন, শালিশে উপস্থিত লোকজনের কোনো অন্যায় না থাকলেও প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে আকাশ ও তার মা সালমা বেগম  এমন মিথ্যা মামলা করেছেন, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। গ্রামবাসী এই মিথ্যা মামলার দ্রুত তদন্ত ও সঠিক বিচার দাবি করেছেন। এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাছে গ্রেফতার দাবি জানান

নিউজটি শেয়ার করুন

গৌরনদীতে চোররে শালিসি করে গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা।

আপডেট সময় ০২:৫৪:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী (বরিশাল): বরিশালের গৌরনদী উপজেলার উত্তর ধানডোবা গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনায় অতিষ্ঠ ছিল সাধারণ মানুষ। রাতের আধারে নৌকা, মাছ ধরার জাল, কৃষি সরঞ্জামসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি হওয়ার অভিযোগে পুরো গ্রামে আতঙ্ক বিরাজ করছিল।

স্থানীয় নুর মোহাম্মদ সরদার জানান, উত্তর  ধানডোবা মহিম সরদারের ছেলে আকাশ সরদার (২৫) মাদকাসক্ত। মাদকের টাকার জন্য দীর্ঘদিন এলাকা ও আশপাশে চুরি-ছিনতাই করে বেড়াচ্ছেন তিনি। নুর মোহাম্মদ সরদার জানান  তার মাছের খামার ধরার নৌকা, লোহার কোদাল, স্টিলের গামলা গুরুত্বপূর্ণ দামী জিনিস পত্র আকাশ,রুবেল  চুরি  করে নিয়ে জায়  গৌরনদী মডেল থানায় একাধীক অভিযোগ রয়েছে। উঃ ধানডোবা গ্রামের রুহি দাস অভিযোগ করে বলেন তার নৌকা ও খামারের মাছ ধরার জাল চুরি যাওয়ার অভিযোগ করেন। অপরদিকে মাছচাষী শাহ আলম সরদার জানান, কিছুদিন আগে সন্ধ্যায় তার খামার থেকে নৌকা ও মাছ ধরার জাল চুরি করতে গিয়ে আকাশকে হাতেনাতে ধরে এলাকার লোকজনের হাতে তুলে দেন।চুরি-ছিনতাই সহ পানের বর থেকে পান এবং কলার বাগান থেকে কলা চুরি করে নিয়ে জায়। চুরির  আতঙ্ক  পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে গ্রামের জনগণ একত্রিত হয়ে রাতের পাহারা ব্যবস্থা চালু করেন। পাহারাদারদের হাতে আবারও ধরা পড়ে আকাশ সরদার, যাকে এলাকাবাসী পেশাদার চোর ও চিহ্নিত মাদকসেবী বলে দাবি করছেন। স্থানীয় সমঝোতার জন্য গ্রামবাসীর উদ্যোগে একটি বিচার-শালিশের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাফিজুল সরদার, সোহাগ সরদার, আহাদ সরদার, আলী সরদার, লিটু জয় ধর, বাচ্চু সরদার, রিফাত সরদার, নাঈম সরদার, চান মিয়া সরদারসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। গৌরনদী মডেল থানার এসআই নাঈমুলও শালিশে উপস্থিত ছিলেন। শালিশে আকাশ সরদার ও তার বাবা মহিম সরদার আকাশের মাদক ও চুরির বিষয় স্বীকার করে শেষবারের মতো ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ভবিষ্যতে আর কখনও চুরি করবে না—এমন মর্মে লিখিত মুচলেকায় শাজাহান ফকির,দেলোয়ার হাওলাদার,পলাশ হাওলাদার,সালাম মাঝি আকাশ স্বাক্ষরও দেন। পরে তাকে শালিশি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ঘটনার কয়েকদিন পর গ্রামবাসী জানতে পারেন, আকাশ সরদার ও তার মা সালমা বেগম বাদী হয়ে  শালিশে উপস্থিত ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করে বরিশাল আদালতে একটি মিথ্যা ও গত ২৬ তারিখ আবার একটি সাজানো মামলা দায়ের করেছেন। এতে গ্রামবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে।সংবাদ সংগ্রহে বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নী তবে তার নানি সালেহা বেগম জানান আমার নাতী একজন নিয়মিত মাদক সেবন করে এবং টাকার জন্য আমাদের মার ধর করে। আপনাদের যা ভাল মনে হয় করেন। স্থানীয়রা দাবি করেন, শালিশে উপস্থিত লোকজনের কোনো অন্যায় না থাকলেও প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে আকাশ ও তার মা সালমা বেগম  এমন মিথ্যা মামলা করেছেন, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। গ্রামবাসী এই মিথ্যা মামলার দ্রুত তদন্ত ও সঠিক বিচার দাবি করেছেন। এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাছে গ্রেফতার দাবি জানান