০৯:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

মীরপাড়া মোকামের মোড় এলাকায় ১০ দিন গৃহবন্দী অবস্থায় শামছুন নাহার

কালেরধারা
  • আপডেট সময় ০৭:২৩:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৩৩ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি:সরজমিনে দেখা যায়,মাগুরা সদর উপজেলার পৌরসভার ৩ নং ওয়াডের মীরপাড়া মোকামের মোড় এলাকায় ১০ দিন গৃহবন্দী অবস্থায় শামছুন নাহার।

মোছাঃ শামছুন নাহার (৪০), পিং- মোঃ শামছুদ্দিন শেখ, সাং- মীরপাড়া মোকামের মোড়, থানা ও জেলা- মাগুরা। বিবাদী মোছাঃ রিনা খাতুন, স্বামী- মোঃ ইসহাক, মোঃ ইমরান, পিং- মৃত আলেক, মোছাঃ এলাচী বেগম, স্বামী- কামরুল, মোছাঃ শিল্পী বেগম, স্বামী ইবাদত, সর্ব সাং- মীরপাড়া মোকামের মোড়, থানা ও জেলা- মাগুরাদের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ করিতেছি যে, আমি এবং বিবাদী রিনা ও এলাচী সকলে মিলে একই মালিকের জমি ক্রয় করি। এবং সকলে বাড়ী ঘর তৈরী করে আমরা সকলে একই পথ দিয়ে নিজ নিজ বাড়ী থেকে রাস্তায় বের হই। পরবর্তীতে বিবাদী রিনা ও এলাচী ২ জন মিলে বাঁশের বেড়া ও বড়ই ডাল দিয়ে আমার বসত বাড়ীর চতুর পাশে ঘিরিয়া দেয়। যে, কারণে আমি আমার বসত বাড়ী থেকে বের হতে পারছি না। পরবর্তীতে আমি ৯৯৯ এ ফোন করিলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ২ বার যায়। এবং বিবাদীদেরকে থানা পুলিশ বলে আসে যে, রাস্তা ঘেরার দরকার নাই। তোমরা ২ পক্ষ থানায় আসো থানা পুলিশের সদস্য উপস্থিত থাকিয়া মিমাংসা করিয়া দিবো। এই কথা বলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। তারপরও সকল বিবাদীরা গত ইং ০৮/১১/২০২৫ খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ৯ টার সময় সকল বিবাদীগণসহ অজ্ঞাতনামা আরো কিছু লোকজন আমার বসত ঘরের পিছনে দাড়িয়ে হুমকি দিয়া আমাকে বলে আমি ও আমার সন্তানসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য বাড়ীর বাহির হইলে আমাদেরকে খুন জখম করিবে বলে ভয়ভীতি দেখায়, এবং ঘরের পিছনে দাড়িয়ে থাকে। এরপর আমি আমার ঘরের দরজায় তালা মারিয়া আমরা ঘরে অবস্থান করি। পরের দিন ভোরে সকল বিবাদীরা পূর্বের ন্যায় আচরণ করিতে থাকে।
মোছাঃ শামছুন নাহার জানান, আমি ১০ দিন যাবৎ বাড়ি থেকে বাহির হতে পারছি না। আমার পুত্রকে বাড়িতে আসতে বাঁধা দেওয়ার জন্য খাদ্য খাবার ঠিকমতো খেতে পারছি না। অনাহারে ও অর্ধহারে দিন কাটছে, আর আমি মহিলা মাদ্রাসায় চাকরি করি সেখানে ১০ দিন যাবৎ ক্লাস নিতে পারছি না, আর চাকরি না থাকলে আমি পথে বসে যাবো কারণ আমি একজন অতি দরিদ্র গরীব মানুষ। আইনের সুদৃষ্টি কামনা করি।

রিনা খাতুন জানান, আমি ও নাহার দুজনের বাড়ির পথ নেই আমি এখন বাগানের পথ দিয়ে যাতায়াত করি। আর নাহার কে আমার বাড়ির উপর দিয়ে যেতে দিবো না। এলাচি তার পথ আটকিয়ে দিয়েছে। তবে এর একটা পথ করে দিয়ে সমাধান হওয়া দরকার। আর পথ দিতে হলে এলাচিকে নাহার ও আমাকে ২ লাখ টাকা দিতে হবে।

এলাচি খাতুন কে বাড়িতে পাওয়া যায় নি তবে এলাচি খাতুনের মা জানায় আমি জমির সীমানা ও পথ ঘিরে দেওয়ার ব্যাপারে কিছু ভালো করে বলতে পারবো নস এটা আমার মেয়ে এলাচি জানে।

এবিষয়ে মোকাম মোল্লা জানান, আমি মাঠের জমি বিক্রি করেছি এলাচি, নাহার ও রিনার কাছে কিন্তু তাদের পথ দেওয়ার কথা বলিনি এবং নাহার ও রিনা তাদের উক্ত জমি এখনও আমার কাছে থেকে রেজিস্ট্রি করে নেয়নি। আর তারা কিভাবে পথ দিয়ে বের হবে এ দায় আমর না। তিনি আরও জানান, এলাচি এখন পথ দেওয়ার জন্য ২ লাখ টাকা চেয়েছে নাহার ও রিনার কাছে এটা শুনলাম আর ওদের মধ্যে দলাদলি আছে।

এছাড়াও স্থানীয় প্রতিবেশী সুমন ও সুমি সহ আরও লোকজন জানান, এটা মানবিক দৃষ্টিতে মারাত্মক অপরাধ মূলক কাজ করেছে এলাচি। সুমি জানান এলাচি বেড়া খুলে দিলে আমাদের বাড়ির পাশের পথ দিয়ে যাতায়াত করতে দিবো নাহার আপাকে। এলাকার লোকজন মাগুরা প্রশাসনের সুদৃষ্টি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

মীরপাড়া মোকামের মোড় এলাকায় ১০ দিন গৃহবন্দী অবস্থায় শামছুন নাহার

আপডেট সময় ০৭:২৩:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

বিশেষ প্রতিনিধি:সরজমিনে দেখা যায়,মাগুরা সদর উপজেলার পৌরসভার ৩ নং ওয়াডের মীরপাড়া মোকামের মোড় এলাকায় ১০ দিন গৃহবন্দী অবস্থায় শামছুন নাহার।

মোছাঃ শামছুন নাহার (৪০), পিং- মোঃ শামছুদ্দিন শেখ, সাং- মীরপাড়া মোকামের মোড়, থানা ও জেলা- মাগুরা। বিবাদী মোছাঃ রিনা খাতুন, স্বামী- মোঃ ইসহাক, মোঃ ইমরান, পিং- মৃত আলেক, মোছাঃ এলাচী বেগম, স্বামী- কামরুল, মোছাঃ শিল্পী বেগম, স্বামী ইবাদত, সর্ব সাং- মীরপাড়া মোকামের মোড়, থানা ও জেলা- মাগুরাদের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ করিতেছি যে, আমি এবং বিবাদী রিনা ও এলাচী সকলে মিলে একই মালিকের জমি ক্রয় করি। এবং সকলে বাড়ী ঘর তৈরী করে আমরা সকলে একই পথ দিয়ে নিজ নিজ বাড়ী থেকে রাস্তায় বের হই। পরবর্তীতে বিবাদী রিনা ও এলাচী ২ জন মিলে বাঁশের বেড়া ও বড়ই ডাল দিয়ে আমার বসত বাড়ীর চতুর পাশে ঘিরিয়া দেয়। যে, কারণে আমি আমার বসত বাড়ী থেকে বের হতে পারছি না। পরবর্তীতে আমি ৯৯৯ এ ফোন করিলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ২ বার যায়। এবং বিবাদীদেরকে থানা পুলিশ বলে আসে যে, রাস্তা ঘেরার দরকার নাই। তোমরা ২ পক্ষ থানায় আসো থানা পুলিশের সদস্য উপস্থিত থাকিয়া মিমাংসা করিয়া দিবো। এই কথা বলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। তারপরও সকল বিবাদীরা গত ইং ০৮/১১/২০২৫ খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ৯ টার সময় সকল বিবাদীগণসহ অজ্ঞাতনামা আরো কিছু লোকজন আমার বসত ঘরের পিছনে দাড়িয়ে হুমকি দিয়া আমাকে বলে আমি ও আমার সন্তানসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য বাড়ীর বাহির হইলে আমাদেরকে খুন জখম করিবে বলে ভয়ভীতি দেখায়, এবং ঘরের পিছনে দাড়িয়ে থাকে। এরপর আমি আমার ঘরের দরজায় তালা মারিয়া আমরা ঘরে অবস্থান করি। পরের দিন ভোরে সকল বিবাদীরা পূর্বের ন্যায় আচরণ করিতে থাকে।
মোছাঃ শামছুন নাহার জানান, আমি ১০ দিন যাবৎ বাড়ি থেকে বাহির হতে পারছি না। আমার পুত্রকে বাড়িতে আসতে বাঁধা দেওয়ার জন্য খাদ্য খাবার ঠিকমতো খেতে পারছি না। অনাহারে ও অর্ধহারে দিন কাটছে, আর আমি মহিলা মাদ্রাসায় চাকরি করি সেখানে ১০ দিন যাবৎ ক্লাস নিতে পারছি না, আর চাকরি না থাকলে আমি পথে বসে যাবো কারণ আমি একজন অতি দরিদ্র গরীব মানুষ। আইনের সুদৃষ্টি কামনা করি।

রিনা খাতুন জানান, আমি ও নাহার দুজনের বাড়ির পথ নেই আমি এখন বাগানের পথ দিয়ে যাতায়াত করি। আর নাহার কে আমার বাড়ির উপর দিয়ে যেতে দিবো না। এলাচি তার পথ আটকিয়ে দিয়েছে। তবে এর একটা পথ করে দিয়ে সমাধান হওয়া দরকার। আর পথ দিতে হলে এলাচিকে নাহার ও আমাকে ২ লাখ টাকা দিতে হবে।

এলাচি খাতুন কে বাড়িতে পাওয়া যায় নি তবে এলাচি খাতুনের মা জানায় আমি জমির সীমানা ও পথ ঘিরে দেওয়ার ব্যাপারে কিছু ভালো করে বলতে পারবো নস এটা আমার মেয়ে এলাচি জানে।

এবিষয়ে মোকাম মোল্লা জানান, আমি মাঠের জমি বিক্রি করেছি এলাচি, নাহার ও রিনার কাছে কিন্তু তাদের পথ দেওয়ার কথা বলিনি এবং নাহার ও রিনা তাদের উক্ত জমি এখনও আমার কাছে থেকে রেজিস্ট্রি করে নেয়নি। আর তারা কিভাবে পথ দিয়ে বের হবে এ দায় আমর না। তিনি আরও জানান, এলাচি এখন পথ দেওয়ার জন্য ২ লাখ টাকা চেয়েছে নাহার ও রিনার কাছে এটা শুনলাম আর ওদের মধ্যে দলাদলি আছে।

এছাড়াও স্থানীয় প্রতিবেশী সুমন ও সুমি সহ আরও লোকজন জানান, এটা মানবিক দৃষ্টিতে মারাত্মক অপরাধ মূলক কাজ করেছে এলাচি। সুমি জানান এলাচি বেড়া খুলে দিলে আমাদের বাড়ির পাশের পথ দিয়ে যাতায়াত করতে দিবো নাহার আপাকে। এলাকার লোকজন মাগুরা প্রশাসনের সুদৃষ্টি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।