মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় আগামী ১৭ নভেম্বর সোমবার
- আপডেট সময় ০২:৫৭:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
- / ৪ বার পড়া হয়েছে
স্টাফ রিপোর্টার কালের ধারাঃ
১৩ নভেম্বরকে (বৃহস্পতিবার) ঘিরে গত দুইদিন ধরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছিল গোটা দেশে। রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাসে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ সহ বিভিন্ন ধরনের নাশকতা চালিয়েছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ দলের সমর্থকরা। মূলত মানবতা বিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে এই উত্তেজনা দেখা যায়। অবশেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সেই রায়ের দিন তারিখ নির্ধারণ করেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে গত বছরের জুলাই আগস্ট আন্দোলনের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় আগামী সোমবার ১৭ নভেম্বর ঘোষণা করা হবে। ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই দিন তারিখ নির্ধারণ করেন। শেখ হাসিনা ছাড়া মামলার অন্য দুই আসামি হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এদিকে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, রায়ে শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করছেন তারা। তবে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি মামুনের ভাগ্য আদালতই নির্ধারণ করবেন।
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ দেশি-বিদেশে প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে বিচার প্রক্রিয়া বানচাল করার চেষ্টা করছে। তবে তিনি দাবি করেন, বিচার তার নিজস্ব গতিতে এগোচ্ছে এবং ট্রাইবুনাল কোন পক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হবে না।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল পুনর্গঠন করা হয়। জুলাই মাসে গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতা বিরোধী অপরাধের ঘটনায় প্রথম মামলাটি দায়ের করা হয় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। গত বছরের ১৭ অক্টোবর এই মামলার প্রথম বিচারকার্য অনুষ্ঠিত হয় এবং সেই দিনই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এবার এই মামলার রায় ঘোষনার তারিখ নির্ধারণ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল।
উল্লেখ্য শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বর্তমানে মোট ৫৮৩ টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে হত্যা মামলা রয়েছে ৩২৪ টি। এছাড়াও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ২৭ টি মামলা রয়েছে। এই মামলা গুলোর মধ্যে মানবতা বিরোধী অপরাধ, গনহত্যা, হত্যা, হত্যাচেষ্টা, হামলা, ভাঙচুর, মারধর, অগ্নিসংযোগ, ভয়-ভীতি প্রদর্শন, লুটপাট, চাঁদাবাজি ও দখলবাজির অভিযোগ রয়েছে।



















