বুড়ো হয়ে যাওয়া এক ব্যাপার, আর যৌনতা কমে যাওয়া সম্পূর্ণ আরেক ব্যাপার। বয়স বাড়লে শরীরে কিছু পরিবর্তন আসতেই পারে—এটা প্রকৃতির নিয়ম। কিন্তু যৌন ক্ষমতা কমে যাওয়া মানেই আকাঙ্ক্ষা হারিয়ে ফেলা নয়। অনেক সময় শারীরিক অক্ষমতা আসে, কখনো মানসিক টানাপোড়েন থেকেও ইচ্ছা কমে যায়।
অক্ষমতা আর ইচ্ছাশক্তির হ্রাস—দুটোর মধ্যে বড় পার্থক্য আছে।

যে পুরুষ শারীরিকভাবে অক্ষম, তার সামনে নারী পর্দা করুক বা খোলা শরীরে দাড়াক—তার অনুভূতির পরিবর্তন অনেক সময় একই থাকে। শরীর যদি সাড়া না দেয়, চোখেও অনেক কিছু দেখার স্পন্দন থাকে না।
কিন্তু সক্ষম পুরুষ? সে স্বাভাবিকভাবেই নারীর সৌন্দর্য, তার উপস্থিতি, তার দ্যুতি অনুভব করে। সে তাকাতে চায়, কাছে যেতে চায়, সান্নিধ্য চায়। এটা কোনো অপরাধ না—বরং মানুষের স্বাভাবিক আকর্ষণ। প্রকৃতি মানুষের মধ্যে এই টানটাই রেখে গেছে—একটা জীবন্ত উচ্ছ্বাস, যা পুরো শরীরকে অনুভব করতে শেখায়। জীবনীশক্তির অন্যতম লক্ষণও এটি।

আজকাল আমাদের অনেকেরই সবচেয়ে বড় ঘাটতি—বন্ধুত্ব।
জীবন সঙ্গী থাকা মানেই যে মনোসংগী পাওয়া—তা নয়। স্বামী-স্ত্রী যত ভালোবাসাই ভাগ করুক, কিছু অনুভূতি, কিছু ক্ষুদ্র ব্যথা, কিছু অপরাধবোধ, কিছু স্বপ্ন—সবাইকে বলা যায় না। এমন কিছু কথা থাকে যা শুধুই বন্ধুর কাছে বলা যায়, কারণ বন্ধু শুনে বিচার করে না—শুধু বোঝার চেষ্টা করে।
বন্ধুহীন জীবন ধীরে ধীরে শুকিয়ে যায়। কথা না বলার গুমোটে মন ভারী হয়ে ওঠে, আর ভেতরের সঙ্গশূন্যতা মানুষকে মানসিকভাবে ভাঙতে শুরু করে।
বন্ধু মানে শুধু আড্ডা ও হাসি নয়—বন্ধু মানে কারো পাশে নিজেকে ছোট না লাগিয়ে মন খুলে কথা বলতে পারা। কাঁধে মাথা রাখার মানুষ না থাকলেও, পাশে থাকার কথাটুকুই অনেক সময় জীবনের ভার হালকা করে দেয়।

আমি বন্ধুহীন নই—এটা কোনো আবেদন বা প্রস্তাবও নয়।
আমি শুধু লিখছি, যা অনুভব করেছি, যা দেখেছি, যা ভাবি। সবাই আমার কথার সাথে একমত হবে এমন আশা নেই। মানুষের চিন্তা আঙুলের ছাপের মতো—প্রতিটি আলাদা।
তবুও লিখি, কারণ না লিখলে বুকের ভেতরে কথা জমে ভারী হয়ে থাকে। লেখার মধ্যে যেন সামান্য স্বস্তি মেলে—যেন মনের জানালা খুলে যায়।

আর হ্যাঁ—
আমার শরীর আছে, তাই দেখাই।
আপনার চোখ থাকলে—দেখতে পারবেন।
আপনার দৃষ্টির সীমা নির্ধারণ করা আমার কাজ নয়।
আমি শুধু আমার সত্যিটা বাঁচিয়ে রাখি—কারণ আমি বেঁচে আছি, অনুভব করি।