১১:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

বিএনপির দুঃসময়ের কান্ডারী কবির আস‌ছেন

কালেরধারা
  • আপডেট সময় ০২:১২:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৭৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের আস্থার প্রতীক, দলের দুঃসময়ের কান্ডারী হিসেবে পরিচিত সাবেক ছাত্র ও যুবনেতা কবির হোসেন পাটোয়ারী (বড় কবির) শীঘ্রই দেশে ফিরছেন। তার প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ইতিমধ্যে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। তাকে বরণ করে নিতে দলীয় পর্যায়ে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী ও বিএনপির রাজপথের নির্ভীক সৈনিক হিসেবে কবির হোসেন পাটোয়ারী দীর্ঘদিন ধরে রামগঞ্জে দলের সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত করতে কাজ করে গেছেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে একাধিক মিথ্যা মামলা, জেল-জুলুম ও পুলিশি হয়রানির শিকার হয়ে তিনি বাধ্য হন দেশ ছাড়তে।

প্রবাসে গিয়েও থেমে থাকেননি তিনি। ফ্রান্সে বিএনপির শক্ত ঘাঁটি গড়ে তোলেন এবং দলের বিপদগ্রস্ত নেতা-কর্মীদের আর্থিক ও আইনি সহায়তা দিয়ে প্রবাসে থেকেও তৃণমূলের আস্থা অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি ফ্রান্স বিএনপির প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

রামগঞ্জের তরুণ নেতারা জানান, ছাত্র ও যুবদলের রাজনীতিতে তিনি ছিলেন দলের অক্লান্ত কর্মী। তিনি এক সময় রামগঞ্জ সরকারি কলেজের জিএস, রামগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি এবং পরবর্তীতে উপজেলা যুবদলের সভাপতি হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।

রামগঞ্জ পৌর যুবদলের সদস্য আমজান হোসেন মিয়াজী বলেন,

“প্রবাসে থেকেও বড় কবির ভাই আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার প্রতীক। তিনি যেমন বিএনপির দুর্গ গড়ে তুলেছেন, তেমনি একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসেবেও দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছেন। তার ফিরে আসা রামগঞ্জ বিএনপিতে নতুন উদ্দীপনা ও ঐক্যের সঞ্চার ঘটাবে।”

সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে কবির হোসেন পাটোয়ারী সমানভাবে সক্রিয় ছিলেন। তিনি রামগঞ্জ উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির সভাপতিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনে নেতৃত্ব দিয়ে এলাকা ও দলের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।

রামগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গন এখন কবির হোসেন পাটোয়ারীর প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে নতুন উদ্দীপনায় মুখর। স্থানীয়দের আশা, তার ফিরে আসা রামগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে নবজাগরণের সূচনা ঘটাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিএনপির দুঃসময়ের কান্ডারী কবির আস‌ছেন

আপডেট সময় ০২:১২:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের আস্থার প্রতীক, দলের দুঃসময়ের কান্ডারী হিসেবে পরিচিত সাবেক ছাত্র ও যুবনেতা কবির হোসেন পাটোয়ারী (বড় কবির) শীঘ্রই দেশে ফিরছেন। তার প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ইতিমধ্যে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। তাকে বরণ করে নিতে দলীয় পর্যায়ে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী ও বিএনপির রাজপথের নির্ভীক সৈনিক হিসেবে কবির হোসেন পাটোয়ারী দীর্ঘদিন ধরে রামগঞ্জে দলের সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত করতে কাজ করে গেছেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে একাধিক মিথ্যা মামলা, জেল-জুলুম ও পুলিশি হয়রানির শিকার হয়ে তিনি বাধ্য হন দেশ ছাড়তে।

প্রবাসে গিয়েও থেমে থাকেননি তিনি। ফ্রান্সে বিএনপির শক্ত ঘাঁটি গড়ে তোলেন এবং দলের বিপদগ্রস্ত নেতা-কর্মীদের আর্থিক ও আইনি সহায়তা দিয়ে প্রবাসে থেকেও তৃণমূলের আস্থা অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি ফ্রান্স বিএনপির প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

রামগঞ্জের তরুণ নেতারা জানান, ছাত্র ও যুবদলের রাজনীতিতে তিনি ছিলেন দলের অক্লান্ত কর্মী। তিনি এক সময় রামগঞ্জ সরকারি কলেজের জিএস, রামগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি এবং পরবর্তীতে উপজেলা যুবদলের সভাপতি হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।

রামগঞ্জ পৌর যুবদলের সদস্য আমজান হোসেন মিয়াজী বলেন,

“প্রবাসে থেকেও বড় কবির ভাই আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার প্রতীক। তিনি যেমন বিএনপির দুর্গ গড়ে তুলেছেন, তেমনি একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসেবেও দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছেন। তার ফিরে আসা রামগঞ্জ বিএনপিতে নতুন উদ্দীপনা ও ঐক্যের সঞ্চার ঘটাবে।”

সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে কবির হোসেন পাটোয়ারী সমানভাবে সক্রিয় ছিলেন। তিনি রামগঞ্জ উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির সভাপতিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনে নেতৃত্ব দিয়ে এলাকা ও দলের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।

রামগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গন এখন কবির হোসেন পাটোয়ারীর প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে নতুন উদ্দীপনায় মুখর। স্থানীয়দের আশা, তার ফিরে আসা রামগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে নবজাগরণের সূচনা ঘটাবে।