দোকানের সাধারণ কর্মচারী থেকে ভারতের শীর্ষ ধনীদের তালিকায়
 
																
								
							
                                - আপডেট সময় ০৫:১৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
- / ১৮ বার পড়া হয়েছে
দোকানের সাধারণ কর্মচারী থেকে ভারতের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় — এমন ব্যতিক্রমী সাফল্যের গল্প এম এ ইউসুফ আলীর। গুজরাটে ৩ হাজার কোটি টাকার ব্যয়ে তিনি নির্মাণ করছেন দেশের সবচেয়ে বড় শপিং মল।
কেরালার ব্যবসায়ী এম এ ইউসুফ আলী নিজ ক্যারিয়ার শুরু করেন ১৯৭৩ সালে আত্মীয়ের একটি মুদি দোকানের কর্মচারী হিসেবে। পরবর্তীতে ব্যবসায়িক সাফল্যের ধারায় তিনি ভারতের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের কাতারে জায়গা করে নেন। ফোর্বসের তালিকায় তিনি বিশ্বের ৩৪৯তম ধনী এবং মধ্যপ্রাচ্যে শীর্ষ ভারতীয় ধনী। তিনি সুপরিচিত লুলু গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
লুলু মলের নাম আরও আলোচনায় আসে তখন, যখন উত্তর প্রদেশের একটি লুলু মলের ভেতরে নামাজ পড়াকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়। বর্তমানে যিনি এই সাম্রাজ্যের মূল কর্তা — এম এ ইউসুফ আলী — কেরালার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি, যার মোট সম্পদের পরিমাণ ৬১ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা।
১৯৫৫ সালে কেরালার ত্রিশূরে জন্ম ইউসুফ আলী। মুদি দোকানে চাকরি দিয়ে শুরু করে একের পর এক শপিংমল প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে তৈরি করেন বিশ্বব্যাপী পরিচিতি। বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ভারতের একাধিক রাজ্যে রয়েছে লুলু মল। এবার গুজরাটের আহমেদাবাদে ৩ লাখ ৫০ হাজার বর্গফুট আয়তনের নতুন একটি মল নির্মাণ করছে লুলু গ্রুপ, যা হবে ভারতের সবচেয়ে বড় শপিংমল। মলটির জমি অধিগ্রহণে ব্যয় হয়েছে ৫১৯ কোটি টাকা এবং নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। ২০২৪ সাল থেকে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে।
নতুন এই মলে থাকবে ৩০০–এর বেশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড, আইম্যাক্সসহ ১৫ পর্দার মাল্টিপ্লেক্স, বৃহৎ ফুড কোর্ট, শিশুদের বিনোদন কেন্দ্র— এবং সেখানে একসঙ্গে কাজের সুযোগ তৈরি হবে ১২ হাজার মানুষের জন্য।
পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত এই ব্যবসায়িক ব্যক্তিত্ব এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন— তাঁর ব্যবসার অনুপ্রেরণা মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.), যিনি জীবনের শুরুতেই সফল ব্যবসায়ী ছিলেন। নবীর আদর্শ থেকেই তিনি শিখেছেন কীভাবে সততা ও ন্যায়পরায়ণতার সাথে ব্যবসা করে সাফল্য অর্জন করা যায়। ইউসুফ আলীর ভাষায়, লুলু মল জনগণের কাছে ন্যায্য দামে উন্নতমানের পণ্য পৌঁছে দিয়ে খুব দ্রুত সবার আস্থাভাজন হয়েছে। আর নিজের কর্মজীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি সততাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন।
 
																			 
																		























