ওসি বলছেন: “আপনারা ভেঙে ফেলুন!
 
																
								
							
                                - আপডেট সময় ১১:০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ৩৫৮ বার পড়া হয়েছে
আদালতের আদেশ সত্ত্বেও গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম ফিলিং স্টেশনটি পুনরায় খোলার বিষয়ে ব্যর্থ হয়েছেন—এবং আদালতের রায়কে তিনি বিশেষ তোয়াক্কা করেননি বলে অভিযোগ উঠেছে।“মালিক পক্ষকে ভেঙে ফেলতে বলেছেন—আমরা পারব না, আমাদের পুলিশ পারবে না; এসিলন্ডকে বলুন, সে আমাকে লিখিত দিয়ে দিক।” তিনি প্রশ্নও তুলেছেন যে আদালত কি তাকে বাঁশের বেড়া সরানোর নির্দেশ দিয়েছে? এসব কথাই বলেছেন ওসি তরিকুল ইসলাম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আদালতের রায় উপেক্ষা করে মাদক সংগঠন ও দখলদার চক্র ফিলিং স্টেশনের সামনে বাঁশের বেড়া দিয়ে মব-সৃজনের চেষ্টা শুরু করেছে। বুধবার বিকেলে ভাড়া করা সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে নিষ্ক্ৰিয়ভাবে কয়েকজন বিএনপির রাজনৈতিক নেতাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পুলিশের তৎপরতা দেখলেও তারা দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে—৭২ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও কার্যকর পদক্ষেপ নেননি বলে মালিক পক্ষ অভিযোগ করেন।

মালিক পক্ষের দাবি: মেসার্স আরিফ ফিলিং স্টেশনের মালিক মো. হারুন অর রশিদ বেপারীর মালিকানাই আদালত স্থায়ীভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ পাশে ফাতেমা হোটেলের মালিক মানিক মাঝি ও উত্তর পাশের জমির মালিক হিরা মাঝি গং স্টেশনটি দখলের পাঁয়তারা চালিয়ে আসছিল। আদালতে ধারাবাহিকভাবে ১২টি মামলার পরও আদালত হারুন বেপারীকেই একক মালিক হিসেবে রায় দিয়েছে—তবু প্রতিপক্ষ ধারাবাহিকভাবে বসতবাড়ি দখল ও চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে দুর্নীতিগ্রস্ত ও সন্ত্রাসী বলে অভিযোগ করা কয়েকজন ব্যক্তি—যার মধ্যে সৌদি ফেরত কথিত বিএনপি নেতা দাবিদার মোহাম্মদ সরদার ও কসবার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী রুহুল তালুকদার—ও দখলদারদের পক্ষে অবস্থান নেন এবং ফিলিং স্টেশনের সামনে বাঁশের বেড়া দিয়ে দখলের কার্যক্রম শুরু করেন।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছে, কিন্তু সেই সময়ে বেআইনি বেড়া সরাতে তারা ব্যর্থ হয়। পরে পুলিশ ভুক্তভোগীকে মামলা করার পরামর্শ দিয়ে ফিরে যায়। অভিযোগ রয়েছে যে থানার ওসি তরিকুল ইসলাম প্রথমে মামলাটা নিতে গড়িমসা করেছেন এবং পরবর্তীতে মামলা গ্রহণ না করাই দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। ওসিকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এসআই সোহেলকে পাঠিয়েছিলাম; দুস্থভাবে চেষ্টা করেছে, সম্ভবত করতে পারেনি—মালিক পক্ষ ছাড়িয়ে ফেলুক, পুলিশ পারবে না।”

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: মেহেদী হাসান জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানোর জন্য ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং ভুক্তভোগীকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
সংক্ষেপে: আদালতের রায় সত্ত্বেও ফিলিং স্টেশনটি দখলের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে; স্থানীয়দের দাবি—দখলদার এবং মাদক সিন্ডিকেটের সহায়তায় বেআইনি কার্যক্রম চলছে, আর থানার কর্তৃপক্ষ তার দায়িত্বসচেতনতা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনপ্রয়োগী সংস্থার কাছে দ্রুত দেখা এবং কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে।
 
																			 
																		























