০২:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫

দলকে ভাঙার জন্য অসংখ্য ষড়যন্ত্র হয়েছে _ _ ম‌নিরুজ্জামান

কালেরধারা
  • আপডেট সময় ১১:০১:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ আগস্ট ২০২৫
  • / ৬২ বার পড়া হয়েছে

লেখা :
ম‌নির উজ জামান ম‌নির : শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ এর ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত আমাদের প্রিয় দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের শাহাদাতের পর থেকে এই দলকে ভাঙার জন্য অসংখ্য ষড়যন্ত্র হয়েছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার নানা চেষ্টা হয়েছে, কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হতে পারেনি।

ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় জিয়াউর রহমানের পরিবারকে বাদ দিয়ে বিএনপির ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে, আর আজকের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জননেতা তারেক রহমানকে হত্যার চেষ্টা পর্যন্ত করা হয়েছে—তাঁর মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। শহীদ জিয়ার আরেক সন্তান আরাফাত রহমান কোকো সাহেবও অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে জীবন হারিয়েছেন। জাতি এই সব ঘটনা কোনোদিন ভুলে যায়নি।

সর্বশেষ শহীদ জিয়ার স্মৃতিবিজড়িত মইনুল রোডের বাড়িটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, দক্ষিণ এশিয়ার “ম্যান্ডেলা” খ্যাত প্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জেলের অন্তরালে বন্দি রেখে কার্যত একটি জীবন্ত লাশে পরিণত করা হয়েছে।

২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন ছিল একটি সাজানো নাটক। আমরা দেখেছি দেশের মানুষ সেদিন রাস্তায় নেমেছিল খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে। কিন্তু আওয়ামী লীগ তাদের লোকদের ধানের শীষের প্রতীক ব্যবহার করিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করেছিল। বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার নীলনকশা অনুযায়ী ইলেকট্রনিক যন্ত্রের মাধ্যমে একটি প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

এরপর ১/১১ চক্র এবং আওয়ামী লীগ মিলে বিএনপিকে ধ্বংসের নতুন খেলা শুরু করে, শেখ হাসিনার ক্ষমতাকে সুসংহত করে। কিন্তু জননেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ ১৭ বছরের সংগ্রামে, অগণিত ত্যাগের বিনিময়ে, অবশেষে ২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনার পতন ঘটে। যদিও তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়, তার চেলারা এখনও দেশে রয়ে গেছে। দেশের অর্থ লুণ্ঠনকারী এস. আলম গ্রুপ শেখ হাসিনাকে বিদেশে পালিয়ে যেতে হাজার হাজার কোটি টাকা সরবরাহ করেছে। এখন সেই টাকার একটি বড় অংশ ব্যবহার করা হচ্ছে যেন তারেক রহমান দেশে ফিরতে না পারেন এবং আগামী নির্বাচন আবারও প্রহসনে পরিণত হয়।

বরিশাল বিভাগে আওয়ামী লীগ নেতা ও ব্যবসায়ী মিজানের সঙ্গে সভা-সেমিনারের আড়ালে ষড়যন্ত্রের টাকা ছড়ানো শুরু হয়েছে। এটি বিএনপির জন্য, দেশের জন্য অশনি সংকেত। উদ্দেশ্য স্পষ্ট—তারেক রহমানকে দেশে ফেরার পথে বিলম্ব ঘটানো এবং ২০১৮ সালের মতো আরেকটি সাজানো নির্বাচন চাপিয়ে দেওয়া।

তবে এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জননেতা তারেক রহমানের নির্দেশে তৃণমূল বিএনপিকেই অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। আমরা অতীতে প্রতিবাদ করেছি, ভবিষ্যতেও করব, ইনশাআল্লাহ। এটি শুধু রাজনৈতিক দায়িত্ব নয়—আমাদের ঈমানী দায়িত্ব।

নিউজটি শেয়ার করুন

দলকে ভাঙার জন্য অসংখ্য ষড়যন্ত্র হয়েছে _ _ ম‌নিরুজ্জামান

আপডেট সময় ১১:০১:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ আগস্ট ২০২৫

লেখা :
ম‌নির উজ জামান ম‌নির : শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ এর ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত আমাদের প্রিয় দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের শাহাদাতের পর থেকে এই দলকে ভাঙার জন্য অসংখ্য ষড়যন্ত্র হয়েছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার নানা চেষ্টা হয়েছে, কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হতে পারেনি।

ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় জিয়াউর রহমানের পরিবারকে বাদ দিয়ে বিএনপির ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে, আর আজকের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জননেতা তারেক রহমানকে হত্যার চেষ্টা পর্যন্ত করা হয়েছে—তাঁর মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। শহীদ জিয়ার আরেক সন্তান আরাফাত রহমান কোকো সাহেবও অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে জীবন হারিয়েছেন। জাতি এই সব ঘটনা কোনোদিন ভুলে যায়নি।

সর্বশেষ শহীদ জিয়ার স্মৃতিবিজড়িত মইনুল রোডের বাড়িটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, দক্ষিণ এশিয়ার “ম্যান্ডেলা” খ্যাত প্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জেলের অন্তরালে বন্দি রেখে কার্যত একটি জীবন্ত লাশে পরিণত করা হয়েছে।

২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন ছিল একটি সাজানো নাটক। আমরা দেখেছি দেশের মানুষ সেদিন রাস্তায় নেমেছিল খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে। কিন্তু আওয়ামী লীগ তাদের লোকদের ধানের শীষের প্রতীক ব্যবহার করিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করেছিল। বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার নীলনকশা অনুযায়ী ইলেকট্রনিক যন্ত্রের মাধ্যমে একটি প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

এরপর ১/১১ চক্র এবং আওয়ামী লীগ মিলে বিএনপিকে ধ্বংসের নতুন খেলা শুরু করে, শেখ হাসিনার ক্ষমতাকে সুসংহত করে। কিন্তু জননেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ ১৭ বছরের সংগ্রামে, অগণিত ত্যাগের বিনিময়ে, অবশেষে ২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনার পতন ঘটে। যদিও তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়, তার চেলারা এখনও দেশে রয়ে গেছে। দেশের অর্থ লুণ্ঠনকারী এস. আলম গ্রুপ শেখ হাসিনাকে বিদেশে পালিয়ে যেতে হাজার হাজার কোটি টাকা সরবরাহ করেছে। এখন সেই টাকার একটি বড় অংশ ব্যবহার করা হচ্ছে যেন তারেক রহমান দেশে ফিরতে না পারেন এবং আগামী নির্বাচন আবারও প্রহসনে পরিণত হয়।

বরিশাল বিভাগে আওয়ামী লীগ নেতা ও ব্যবসায়ী মিজানের সঙ্গে সভা-সেমিনারের আড়ালে ষড়যন্ত্রের টাকা ছড়ানো শুরু হয়েছে। এটি বিএনপির জন্য, দেশের জন্য অশনি সংকেত। উদ্দেশ্য স্পষ্ট—তারেক রহমানকে দেশে ফেরার পথে বিলম্ব ঘটানো এবং ২০১৮ সালের মতো আরেকটি সাজানো নির্বাচন চাপিয়ে দেওয়া।

তবে এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জননেতা তারেক রহমানের নির্দেশে তৃণমূল বিএনপিকেই অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। আমরা অতীতে প্রতিবাদ করেছি, ভবিষ্যতেও করব, ইনশাআল্লাহ। এটি শুধু রাজনৈতিক দায়িত্ব নয়—আমাদের ঈমানী দায়িত্ব।